ঢাকা , বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ , ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তিগঞ্জের কাউয়াজুড়ী হাওর রক্ষা বাধের বেহাল দশা


আপডেট সময় : ২০২৫-০১-২৭ ১৮:২৮:৫৪
শান্তিগঞ্জের কাউয়াজুড়ী হাওর রক্ষা বাধের বেহাল দশা শান্তিগঞ্জের কাউয়াজুড়ী হাওর রক্ষা বাধের বেহাল দশা

 
মোশারফ হোসেন লিটন সুনামগঞ্জ  : 
 
শান্তিগঞ্জের পশ্চিম বীরগাও ইউনিয়নের হাওর রক্ষা বাধের নামে চলছে অনিয়ম দূর্নীতি ও পকেট ভারীর মহা-উৎসব। দলীয় প্রভাবে চলছে পি আইসি কমিটির কাজ। কাজ না করিয়ে দলীয় প্রভাব দেখিয়ে বিল উত্তোলন করেছেন পি আইসি কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবরা। হাওর রক্ষা বাধের নামে চলছে পকেট ভারি'র হরিলুট। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী কাজের কথা উল্লেখ থাকলেও রীতিমত কৃষকের সাথে চলছে খামখেয়ালি। নাম কাওয়াস্তে চলছে বাধের কাজ। অনেকেই পানি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের দোহাই দিচ্ছেন। অনেকেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হাওর রক্ষা বাধের নামে করছেন কারসাজি। অনেকেই পি আইসি বিক্রি করে ঘুরছেন হাটবাজারে।

গতকাল শান্তিগঞ্জ উপজেলার কাউয়াজুড়ীর হাওরের কয়েকটি হাওর রক্ষা বাধ সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, যেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোটি কোটি টাকা'র বরাদ্দ দেওয়া হলেও অফিসকে ম্যানেজ করে যত সামান্য কাজ করিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন  লাখো লাখো টাকা।

কাউয়াজুড়ীর হাওরের ৩৫;নং পি আইসিতে দেখা যায়, হাওর রক্ষা  নামে চলছে বেশ অনিয়ম দুর্নীতি। বাধের কাজে গাফিলতির কোন শেষ নেই। পি আইসি কমিটির কাজে দলীয় প্রভাবের আবাস।কাজের ত্রুটি'র শেষ নেই। ৩৬ নং আইসিতে কাজেই বন্ধ রয়েছে। আওয়ামী লীগের ধূসর ইউপি সদস্য মছরু মেম্বার রয়েছেন এ কমিটিতে।

পি আইসি  সদস্য বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি সদস্য তুফায়েল আহমেদ বলেন, আওয়ামীলীগিদের লোকদের দখলে রয়েছে এ কাজ । আমাদের না বলেই তাদের মনগড়া ভাবে বিল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করতেছেন। এজন্য কাজ বন্ধ রয়েছে।

অপর সদস্য জানান, আমাদের মাটি কাজের গাড়ি নষ্ট হওয়াতে আমাদের কাজ চলছে না। ৩৪ নং পি আইসি নাজমূল খানের পি আইসিতে কাজের অনেক গাফিলতি। ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে বরাদ্দ বাচাতে চলছে কারসাজি। বাধের কাজের অবস্থা নাজুক। ১৭ নং পি আইসি কাজের ধীরগতি ও দূর্নীতির সীমানার শেষ নেই। পি আইসি সদস্য চন্দন আলী একজন বিএনপি নেতা অফিস ম্যানেজ করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হাওর রক্ষা বাধের মধ্যে সীমাহীন দূর্নীতি করছেন। বাধের কাজের অবস্থা খুবই নাজেহাল। ঝুঁকিপূর্ণ বাধের বুক কেটে বাধ নির্মান করছেন। নির্ধারিত সময়ের সিংহ ভাগ অতিবাহিত হওয়ার পর বাধে তেমন কাজ হচ্ছে না। লোক দেখানো কাজ করে তুলতেছেন লাখো লাখো টাকা। ঝুঁকিপূর্ণ বাধের অবস্থা নাজুক হওয়াতে হতাশায় ভূগছেন হাওর পাড়ের কৃষক।

স্থানীরা জানান, এ বাধেই কোন কাজ হয়নি। সভাপতি চন্দন আলী বলেন, আমার বাধে কাজ হচ্ছে। প্রতিহিংসা অনলে অনেকেই অপবাদ দিচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন জানেন আমি কেমন কাজ করছি। ৩৩ নং পি আইসি শামীম আহমেদের পি আইসিতে বেশ অনিয়ম দূর্নীতি। বাধ থেকে মাটি তুলেই বাধ নিমার্ণ। বাধের গোড়াতে বিশাল গর্ত। হাওর রক্ষা বাধের নামে করছেন মাটি ক্রয় -বিক্রির কাজ। কৃষকদের সীমাহীন অভিযোগ। নাম মাত্র কাজ করে তুলছেন লাখো লাখো টাকা। কাউয়াজুড়ীর হাওরের সব থেকে ঝোকিপূর্ন বাধ হচ্ছে ভুগুলা ডুবি। এ বাধে এখনও কাজ হয়নি। বাধের পি আইসি কমিটির সদস্য ৩৩নং নং পি আইসি কমিটি সভাপতি  যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন লাপাত্তা। বাধে নেই কোন সাইনবোর্ড। দায়সারা কাজ করিয়েই চলছে নামে বে নামে বিল। উত্তোলন করছেন লাখো লাখো টাকা। অফিসের নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দাপট খাটিয়ে করছেন কাজ। এবিষয়ে একাধিক মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক জানান,  এব্যাপারে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, কাউয়াজুড়ীর হাওরের জন্য শান্তিগঞ্জের কর্মকতাদের কাছ থেকে খোজ নিচ্ছি। যারা হাওর রক্ষা বাধের কাজে অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
 
 

 



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ